বিতর্ক মানেই বিপ্লব দেব (Biplab Deb)। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পর থেকেই একের পর এক বিতরকের সূচনা হয়েছে বিপ্লবের হাত ধরে। এবার তার মন্তব্য যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তার রেশ সীমানা পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছে দেশের বাইরেও। সম্প্রতি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাতেও সরকার গড়বেন অমিত শাহ। বিপ্লবের এহেন মন্তব্যের নিন্দায় সরব হলো নেপাল সরকার। এই নিয়ে ভারত সরকারের কাছে আপত্তি জানিয়েছে কাঠমান্ডু।

এ প্রসঙ্গে নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গিয়াওয়ালি বলেছেন, 'বিষয়টি নোট করা হয়েছে। আমাদের আপত্তি জানিয়েছি।'এনিয়ে নয়াদিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে নেপাল সরকার।ভারতে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত এই আপত্তি জানিয়েছেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।নেপালের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টি ও প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস বিপ্লবের এই মন্তব্যের সমালোচনায় মুখর হয়েছে। এই মন্তব্য নেপালের সর্বভৌমত্ত ওকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে সরব হয়েছেন তারা।
গত রবিবার বিপ্লব দেব বলেন, 'ত্রিপুরায় দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সংগঠন বিস্তারের কথা বলেছিলেন অমিত শাহ। সেসময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন অমিত শাহ। বিপ্লবের কথায়,'আগরতলায় গেস্ট হাউসে আমরা কথা বলেছিলাম। অমিত শাহ বলেছিলেন, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা বাকি রয়েছে। ওখানেও আমাদের জিততে হবে।'বিপ্লব আরো বলেছেন,'অমিত শাহের দক্ষতাতেই বিজেপি আজ বড় রাজনৈতিক দল। কমিউনিস্ট পার্টির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বিজেপি।

এর আগে বিজেপি সরকার টিকিয়ে রাখার উপায় বলে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এমনকি মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট ছিল বলে 'আজব'মন্তব্য শোনা গিয়েছিল বিপ্লবের মুখে। প্রসঙ্গত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর থেকেই একের পর এক মন্তব্য করে বিতর্কে বাড়িয়েছেন বিপ্লব। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে সমস্যায় পড়তে হয়েছে গেরুয়া বাহিনী।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন